Trade Facilitation (বাণিজ্য সহজীকরণ)
Trade Facilitation বলতে বোঝায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে (Import-Export) কাস্টমস, পোর্ট, বাণিজ্য আইন, নথিপত্র, পরিবহন ও লজিস্টিকস প্রক্রিয়াকে সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ করার জন্য গৃহীত সব ধরণের পদক্ষেপ।
সহজভাবে
কম কাগজপত্র, কম সময়, কম খরচে সীমান্ত পারাপারে পণ্য ছাড়করণ নিশ্চিত করাই হলো Trade Facilitation।
Trade Facilitation কীভাবে কাজ করে?
-
ডিজিটাল কাস্টমস (E-Customs / National Single Window)
ইলেকট্রনিকভাবে ডকুমেন্ট জমা দেওয়া, দ্রুত পণ্য ছাড়।
-
হরমোনাইজড প্রোসিডিউর (Harmonization)
আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কাস্টমস কোড (HS Code), ডকুমেন্ট স্ট্যান্ডার্ড ইত্যাদি।
-
Risk Management System
প্রত্যেক কন্টেইনার চেক না করে, ঝুঁকি অনুযায়ী পরীক্ষা → সময় বাঁচে, দুর্নীতি কমে।
-
One Stop Service
সব অনুমোদন (Customs, BSTI, Health Certificate) এক জায়গায় পাওয়া যায়।
রাজস্ব বৃদ্ধি—কিভাবে?
- ট্রেড ভলিউম বৃদ্ধি: আমদানি-রপ্তানি দ্রুত ও সহজ হলে ব্যবসায়ী বেশি লেনদেন করে → আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ে।
- কম কর ফাঁকি ও দুর্নীতি: স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমে রাজস্ব ফাঁকি কমে → সরকার বেশি রাজস্ব পায়।
- ব্যবসা করার খরচ কমে: খরচ কমলে ব্যবসা প্রতিযোগিতামূলক হয় → বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) বাড়ে → কর-ভ্যাট বাড়ে।
- Formal Trade বৃদ্ধি: সীমান্তে অনানুষ্ঠানিক/চোরাচালান কমে, বৈধ আমদানি-রপ্তানি বাড়ে → সরকার বেশি রাজস্ব পায়।
- সময়ের দক্ষ ব্যবহার: দ্রুত পণ্য ছাড় → ব্যবসায়ীরা বারবার আমদানি-রপ্তানি করে → শুল্ক আদায় বৃদ্ধি।
বাংলাদেশে কয়েকটি বাস্তব উদাহরণ
- ASYCUDA World চালুর ফলে কাস্টমসে আমদানি প্রক্রিয়া দ্রুত হয়েছে।
- Bonded Warehouse Automation — রপ্তানি সহজ হয়েছে।
- NBR-এর ডিজিটাল ব্যবস্থা (যেমন e-VAT) থেকে ভ্যাট আদায় বেড়েছে।
সংক্ষেপে
Trade Facilitation ব্যবসার গতি বাড়ায়, খরচ কমায়, স্বচ্ছতা আনে। ফলে ব্যবসায়ীরা বেশি Import-Export করে — রাজস্ব বৃদ্ধি পায়।