Trade Facilitation কি?
Trade Facilitation কি?

Trade Facilitation (বাণিজ্য সহজীকরণ)

Trade Facilitation বলতে বোঝায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে (Import-Export) কাস্টমস, পোর্ট, বাণিজ্য আইন, নথিপত্র, পরিবহন ও লজিস্টিকস প্রক্রিয়াকে সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ করার জন্য গৃহীত সব ধরণের পদক্ষেপ।

সহজভাবে

কম কাগজপত্র, কম সময়, কম খরচে সীমান্ত পারাপারে পণ্য ছাড়করণ নিশ্চিত করাই হলো Trade Facilitation।

Trade Facilitation কীভাবে কাজ করে?

  1. ডিজিটাল কাস্টমস (E-Customs / National Single Window)

    ইলেকট্রনিকভাবে ডকুমেন্ট জমা দেওয়া, দ্রুত পণ্য ছাড়।

  2. হরমোনাইজড প্রোসিডিউর (Harmonization)

    আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কাস্টমস কোড (HS Code), ডকুমেন্ট স্ট্যান্ডার্ড ইত্যাদি।

  3. Risk Management System

    প্রত্যেক কন্টেইনার চেক না করে, ঝুঁকি অনুযায়ী পরীক্ষা → সময় বাঁচে, দুর্নীতি কমে।

  4. One Stop Service

    সব অনুমোদন (Customs, BSTI, Health Certificate) এক জায়গায় পাওয়া যায়।

রাজস্ব বৃদ্ধি—কিভাবে?

  • ট্রেড ভলিউম বৃদ্ধি: আমদানি-রপ্তানি দ্রুত ও সহজ হলে ব্যবসায়ী বেশি লেনদেন করে → আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ে।
  • কম কর ফাঁকি ও দুর্নীতি: স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমে রাজস্ব ফাঁকি কমে → সরকার বেশি রাজস্ব পায়।
  • ব্যবসা করার খরচ কমে: খরচ কমলে ব্যবসা প্রতিযোগিতামূলক হয় → বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) বাড়ে → কর-ভ্যাট বাড়ে।
  • Formal Trade বৃদ্ধি: সীমান্তে অনানুষ্ঠানিক/চোরাচালান কমে, বৈধ আমদানি-রপ্তানি বাড়ে → সরকার বেশি রাজস্ব পায়।
  • সময়ের দক্ষ ব্যবহার: দ্রুত পণ্য ছাড় → ব্যবসায়ীরা বারবার আমদানি-রপ্তানি করে → শুল্ক আদায় বৃদ্ধি।

বাংলাদেশে কয়েকটি বাস্তব উদাহরণ

  • ASYCUDA World চালুর ফলে কাস্টমসে আমদানি প্রক্রিয়া দ্রুত হয়েছে।
  • Bonded Warehouse Automation — রপ্তানি সহজ হয়েছে।
  • NBR-এর ডিজিটাল ব্যবস্থা (যেমন e-VAT) থেকে ভ্যাট আদায় বেড়েছে।

সংক্ষেপে

Trade Facilitation ব্যবসার গতি বাড়ায়, খরচ কমায়, স্বচ্ছতা আনে। ফলে ব্যবসায়ীরা বেশি Import-Export করে — রাজস্ব বৃদ্ধি পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *