কোম্পানি নিবন্ধনের পর আয়কর আইনের পরিপালনীয়
কোম্পানি নিবন্ধনের পর আয়কর আইনের পরিপালনীয়

কোম্পানি নিবন্ধনের পর আয়কর আইনের পরিপালনীয়

নিচে কোম্পানি নিবন্ধনের পর যা যা করতে হবে সেগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো —

  • ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।
  • টিন (TIN) খুলতে হবে।
  • ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে।
  • পেইড আপ ক্যাপিটাল পরিচালকদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে দ্রুতসময়ের মধ্যে কোম্পানীর ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে।
  • কোম্পানীর ব্যাংক একাউন্টে কোন অযাচিত লেনদেন করা যাবে না।
  • সকল লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে করতে হবে।
  • অফিস ভাড়া নিলে ডিড (ভাড়া-চুক্তি) করতে হবে।
  • বিল/ভাউচার (বিল/ভাইচার) সংগ্রহ করতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।
  • আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ৮৬ থেকে ১৩৯ অনুযায়ী যেসকল খরচে উৎসে কর কর্তনযোগ্য, সেসব ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।
  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উৎসে আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
  • বছরে ৪ বার অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
  • বছরে ৪ বার (প্রতি ৩ মাস) উৎসে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
  • প্রতিবছর এপ্রিল মাসের উৎসে আয়কর রিটার্নের সাথে কর্মচারীর আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র সংক্ষিপ্ত (সামারি) আকারে জমা দিতে হবে।
  • প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের উৎসে আয়কর রিটার্নের সাথে কর্মচারীর বেতনের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ সারসংক্ষেপ (সামারি) আকারে জমা দিতে হবে।
  • কোম্পানির অডিট রিপোর্ট প্রস্তুত করতে হবে (বার্ষিক অডিট)।
  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানির বার্ষিক আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
  • কোম্পানির আয়কর রিটার্নের সাথে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হবে।
  • আয়কর অফিসের নোটিশ ও নির্দেশনার বিধানাবলী পালন করতে হবে।

প্রযোজ্য টিপস

  • সব ধরনের লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে রাখলে অডিট ও কর নির্ণয়ে সুবিধা হয়।
  • বিল/ভাউচার ও চুক্তিপত্র নিয়মিতভাবে ডিজিটাল কপি করে রাখতে হবে।
  • ট্যাক্স পেশাদারের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ রাখুন যাতে জরুরি সময়ে নোটিশ বা সংশোধনী দ্রুত সমাধান করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *